erdogan
Home I সিরিয়াকে কখনই ভাঙতে দেব না, এরদোগানের হুঁশিয়ারি
I - বিশ্ব - December 11, 2024

সিরিয়াকে কখনই ভাঙতে দেব না, এরদোগানের হুঁশিয়ারি

সিরিয়াকে আর কখনই ভেঙে ফেলতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি সিরীয় ভূখণ্ডের অখণ্ডতা নিয়ে আপস করতে চায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তুরস্ক ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানী আঙ্কারায় জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) এক কনভেনশনে তিনি এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই মুহূর্ত থেকে আমরা সিরিয়াকে আবারও বিভক্ত হতে দিতে পারি না… সিরিয়ার জনগণের স্বাধীনতা, নতুন প্রশাসনের স্থিতিশীলতা এবং সিরীয় ভূমির অখণ্ডতার ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ হলে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব।

এর আগে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গোলান মালভূমিতে জাতিসংঘের নির্ধারিত বাফার জোন এলাকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রবেশের নিন্দা জানায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার জনগণ বহু বছর ধরে যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আকাঙ্ক্ষা করে আসছে, বর্তমানে তা অর্জনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু মর্মান্তিক বিষয় হলো স্পর্শকাতর এই সময়ে ইসরাইল আবারও তার দখলদার মানসিকতা প্রদর্শন করছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়াকে তার জনগণের শাসন করা উচিত। তুরস্ক একটি ঐক্যবদ্ধ এবং সন্ত্রাসমুক্ত সিরিয়া গঠনে সর্বাত্মক সহায়তা চালিয়ে যাবে।

এর আগে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, আঙ্কারা নতুন সিরিয়া দেখতে চায়, যারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। সিরিয়াকে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে তুরস্ক প্রস্তুত।

ফিদান বলেন, বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের নিরাপদে সিরিয়ায় ফিরে যেতেও সহায়তা করবে তুরস্ক। সিরিয়ায় নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এখন সময় সামনের দিকে এগোনোর।

বিদ্রোহীদের জোরদার হামলার মুখে মাত্র ১২ দিনেই পতন হয় প্রেসিডেন্ট আসাদের ২৪ বছরের সাম্রাজ্যের। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেন বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালান। বর্তমানে তিনি পরিবারসহ রাশিয়াতে আশ্রয় নিয়েছেন। 

তুরস্কে প্রায় ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থী বসবাস করেন। আসাদের পতনের পর আঙ্কারায় সিরীয় প্রবাসীরা বিদ্রোহীদের বিজয়কে কেন্দ্র করে মিছিল বের করেন। তারা এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে শুরু করেছেন। বিদ্রোহীদের এই বিজয়কে তারা নিজেদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also

ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিষয়ে ইসরায়েলের বর্ণনা মিথ্যা প্রমাণিত

গাজায় সংঘর্ষ চলাকালীন আল-জাজিরার ডকুমেন্টারি থেকে প্রাপ্ত কিছু ছবি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ …