
ঢাকায় একের পর এক ছিনতাই, চলাচলে ভয়
১৮ ডিসেম্বর, রাত পৌনে ৯টা। রাজধানীর মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন হাফেজ কামরুল হাসান। এ সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। ছিনতাইকারীরা তাঁর পেটে ছুরিকাঘাত করে মুঠোফোন ও সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গতকাল শনিবার জানিয়েছে, কামরুল হাসানকে স্থানীয় মানুষেরা উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীতে ছিনতাইয়ের এমন অনেক ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাতে ও ভোরে চলাচল করতে মানুষ ভয় পাচ্ছেন। ঘটছে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা হয়। পুলিশ ও ঢাকার আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় গত ১ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ দিনে অন্তত ৩৪ জন ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মামলা করেছেন। এ সময় একজন ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও চারজন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, এখন অপরাধের ঘটনা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এ কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেশি তৈরি হচ্ছে।
সব মিলিয়ে গত ৫ আগস্ট থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন সাতজন। সর্বশেষ ১৮ ডিসেম্বর মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে নিহত হন কামরুল হাসান। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার মগবাজারে হাবিব উল্লাহ নামের এক তরুণ ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় কত মামলা হয়েছে, তা নিজেদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে পুলিশ সদর দপ্তর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় গত আগস্ট থেকে নভেম্বর সময়ে ছিনতাইয়ের (রবারি বা দস্যুতা) ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬৫টি। গত বছর এই চার মাসে মামলা হয়েছিল ৬৭টি। ফলে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ছিনতাইয়ের মামলা দুটি কম হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরের সঙ্গে এ বছরের তুলনা চলে না। এ বছরের আগস্ট মাসে পুলিশি কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। এখনো পুলিশি কার্যক্রম পুরো স্বাভাবিক হয়নি।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিষয়ে ইসরায়েলের বর্ণনা মিথ্যা প্রমাণিত
গাজায় সংঘর্ষ চলাকালীন আল-জাজিরার ডকুমেন্টারি থেকে প্রাপ্ত কিছু ছবি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ …